extend admisstion date banner
extend admisstion date banner

আসালামু আলাইকুম! ২ডি অ্যানিমেশন আমাদের অনেকের কাছেই একটি স্বপ্নের কাজ। আমরা অনেকেই চাই আমাদের কল্পনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে ২ডি অ্যানিমেশন শিখতে বা করতে। আমাদের এই যে ২ডি অ্যানিমেশনের প্রতি প্যাশন, বা অন্য কোনো কাজের প্রতি—সেই প্যাশনকে আমরা তখনই সহজে ধরে রাখতে পারি, যখন সে প্যাশনকে আমরা নিজের পেশায় পরিণত করতে পারি।

আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচনা করব, আমরা ২ডি অ্যানিমেশনকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিলে কোন কোন সেক্টর থেকে কাজ করে আয় করতে পারি।

বর্তমান সময়ে ২ডি অ্যানিমেশনে ক্যারিয়ার গড়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে মুক্ত পেশা বা ফ্রিল্যান্সিং।

এখানে হতে পারে মার্কেটপ্লেসে প্রোজেক্ট বেইস করা, বা ইউটিউব-ফেসবুকে কাজ করা।

১। ইউটিউব: আপনি হাজারো চ্যানেল দেখবেন, বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ অন্যান্য ভাষায়, যারা ২ডি অ্যানিমেশন কন্টেন্ট ইউটিউবে আপলোড করে, যেমন ইনকাম করছে, তেমনি নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করছে। 📈

তবে অ্যানিমেশন শেখাটা যেমন একটি ধৈর্য ও পরিশ্রমের কাজ, তেমনি অ্যানিমেশন কন্টেন্ট দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুকে কাজ করতে গেলে আপনার অডিয়েন্সের চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট দিতে হবে। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের এলগরিদম বুঝে কাজ করতে হবে। এখানেও সময় দিতে হবে। ⏰

২। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা: অনলাইনে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে, সেখানে ২ডি অ্যানিমেশনের কাজ পাওয়া যায়। যেমন, ফাইভারে আপনি আপনার কাজগুলো একটি গিগ আকারে পাবলিশ করবেন। যেখানে লেখা থাকবে আপনি ক্লায়েন্টকে কী কী প্রোভাইড করবেন, তার বিপরীতে কী রকম চার্জ করবেন। ক্লায়েন্ট আপনার কাজ দেখে ভালো লাগলে আপনাকে ম্যাসেজ করবে। এরপর আপনি তার সাথে ডিল করে কাজ নিয়ে করবেন। এছাড়া অনেক ওয়েবসাইটে ক্লায়েন্ট জব পোস্ট করে, আপনি সেখানে এপ্লাই করবেন। ক্লায়েন্ট যাকে পছন্দ করবে, তাকে কাজ দিবে।

এভাবে আপনি অনেক মার্কেটপ্লেসে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকেই অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে এখানে কম্পিটিশন আছে। কাজ পেতে, ভালো অ্যানিমেশনের পাশাপাশি ক্লায়েন্টের থেকে কাজ নেওয়ার দক্ষতা থাকতে হবে। সময় দিতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। এবং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে ইংরেজি জানার কোনো বিকল্প নেই। 📚

৩। লোকাল মার্কেট: মানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, বিহ্যান্স থেকে কাজ নিতে পারেন। সেটা কী রকম? ধরুন, আপনি অ্যানিমেশনের কাজ করেন, আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজে শেয়ার দিচ্ছেন। তেমনি ভাবে লিংকডইন, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিচ্ছেন। যে আপনার সাথে কানেক্টেড, সে জানে আপনি অ্যানিমেশন করেন। তখন তার যদি কোনো ভিডিওর প্রয়োজন হয়, সে আপনার থেকে নিতে পারে। অথবা আপনি কোনো ফেসবুক গ্রুপে কাজ শেয়ার করছেন, সেখান থেকে কোনো কোম্পানির কন্টেন্ট ম্যানেজার আপনার সাথে যোগাযোগ করে, তার কোম্পানির জন্য কোনো বিজ্ঞাপন বানিয়ে নিতে পারে। অথবা আপনি এসব প্ল্যাটফর্মে থাকা এমন কিছু মানুষ, যাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্য অ্যানিমেশন ভিডিও লাগে, তাদেরকে মেইল করে ম্যাসেজ দিয়ে কাজ নিতে পারেন। এছাড়া আরো অনেক উপায়ে মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকেও কাজ নিতে পারেন। 🌐

৪। জব: এটি হতে পারে অনসাইট জব বা হোম অফিস জব। মানে আপনি বাংলাদেশে বসে ইউরোপের কোনো এজেন্সিতে এনিমেটরের রোলে জব করতে পারেন। বাইরের দেশের অ্যানিমেটরের জবের খুব ভালো ডিমান্ড আছে, যেখানে একজন ভালো অ্যানিমেটরের স্যালারি মাসে ৫০০০ থেকে ৭০০০ ডলার হতে পারে। 💰

এছাড়া, অনসাইট জবের কথা বললে, জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা সহ বাইরের অনেক দেশে জব করতে পারবেন। তেমনি বাংলাদেশেও অনেক এজেন্সি আছে, যেখানে আপনি জব করতে পারেন।

আপনি যদি একজন অ্যানিমেটর হন, তাহলে কিন্তু শুধু অ্যানিমেশন করতে বা এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে নয়, আপনি স্বাধীনভাবে অনেক মাধ্যমেই ইনকাম করতে পারেন। অনেক জায়গা থেকে। আপনারা সবাই জানেন, একটা অ্যানিমেশন করতে গেলে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। যেমন, ক্যারেক্টার ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইন, অ্যানিমেশন রিগিং, থাম্বনেইল ডিজাইন, ভিডিও এডিট।

তাই এতগুলো কাজ পারার কারণে আপনি অনেক ধরনের কাজ করতে পারেন। যেমন, গিফ অ্যানিমেশন, লুপি ভিডিও, কার্টুনিস্টিক বুক কভার ডিজাইন, ক্যারেক্টার ডিজাইন, এক্সপ্লেইনার ভিডিও, অ্যানিমেশন গল্প, অ্যানিমেশন মুভি। 🎨

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *