extend admisstion date banner
extend admisstion date banner

২ডি অ্যানিমেশন কি?

আমি, আপনি যি গোপাল ভাড়া, টম অ্যান্ড জেরি, নাট বল্টু, মীনা কার্টুনসহ ইউটিউবে ঠাকুরমার ঝুলি দেখি—এটাই ২ডি অ্যানিমেশন। 🎨

আগে এই ২ডি অ্যানিমেশন করা হতো হাতে ড্রয়িং করে, তবে এখন যুগের সাথে বদলে গেছে। এখন ২ডি অ্যানিমেশনের সব কিছুই করা হয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে।

চলুন, আজ জানি ২০২৪ সালে এসে ২ডি অ্যানিমেশন ঠিক কিভাবে করা হয়ে থাকে।

১. কনসেপ্ট/গল্প লেখা: একটি ২ডি অ্যানিমেশন তৈরি করার প্রথম ধাপ হচ্ছে আপনি কি নিয়ে একটি অ্যানিমেশন ভিডিও বানাবেন, তার স্ক্রিপ্ট লেখা। ✍️

২. স্টোরিবোর্ডিং: স্টোরিবোর্ড হচ্ছে আপনি যে গল্প বা অ্যানিমেশন ভিডিওটি বানাবেন, সেটাকে ভিজুয়াল ফরম্যাটে আঁকা। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কতগুলো দৃশ্য হবে, সেই দৃশ্যে কি কি অ্যানিমেশন করা লাগবে এবং কি ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড লাগবে।

৩. ক্যারেক্টার ডিজাইন করা: এই ধাপে এসে আমাদের প্রয়োজন হবে ক্যারেক্টার ডিজাইনের। আমাদের গল্প অনুযায়ী যেরকম বৈশিষ্ট্যের ক্যারেক্টার লাগবে, সেগুলো আমরা ডিজাইন করে নিব। এই ক্যারেক্টারগুলো অবশ্যই আমরা সেই সফটওয়্যারে ডিজাইন করব, যেখানে আমরা অ্যানিমেশন করব। এক্ষেত্রে আমরা After Effects, Adobe Animate CC, Toon Boom, Moho ব্যবহার করতে পারি।

৪. ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইন: এখন আমাদের গল্পে যে ব্যাকগ্রাউন্ডগুলো লাগবে, সেগুলো ডিজাইন করতে হবে। আর অবশ্যই এটা করতে হবে স্টোরিবোর্ড দেখে; স্টোরিবোর্ডে যে ব্যাকগ্রাউন্ডগুলো আমরা রাফ স্কেচ করেছিলাম, সেগুলো এখন অ্যানিমেশন করার জন্য ডিজাইন করব।

ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইনের জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি Adobe Photoshop, Adobe Illustrator, Clip Studio। 🎨

৫. ভয়েস রেকর্ড: আমাদের গল্প বা অ্যানিমেশন ভিডিওতে যদি কোন ভয়েস থাকে, সেগুলো আমাদের রেকর্ড করে নিতে হবে। 🎤

৬. অ্যানিমেশন: এই ধাপে এসে আমরা আমাদের স্টোরিবোর্ড অনুযায়ী অ্যানিমেশন করব। অ্যানিমেশন করতে আমরা ব্যবহার করব আগে থেকে করে রাখা ব্যাকগ্রাউন্ড, ক্যারেক্টার, ভয়েস। অ্যানিমেশন করতে আমরা ব্যবহার করতে পারি After Effects, Adobe Animate CC, Toon Boom, Moho।

৭. ভিডিও এডিটিং: এই ধাপে এসে আপনি যেকোন সফটওয়্যারে ব্যাকগ্রাউন্ড, ক্যারেক্টার, ভয়েস/সংলাপ দিয়ে যে অ্যানিমেশন করেছেন, সেটাকে প্রথমে অ্যানিমেশন সফটওয়্যার থেকে ভিডিও আকারে এক্সপোর্ট দিয়ে, যেকোন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে ভিডিওর সবগুলো দৃশ্য একটার পরে একটা সাজাবেন। এরপর ভিডিওর সাদৃশ্যে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট যুক্ত করবেন। ব্যাস, হয়ে গেলো আপনার অ্যানিমেশন ভিডিও! 🎥

এভাবেই ২ডি অ্যানিমেশন বানানো হয়ে থাকে। এর পরে আপনি চাইলে আরো একটি জিনিস করতে পারেন, তা হচ্ছে থাম্বনেইল বা ব্যানার ডিজাইন। যা আপনার ভিডিওটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে কাজে দিবে বা প্রচারের জন্যেও কাজে লাগাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *